গণেশ চতুর্থী ২০২৪ ওম গং গণপতয়ে নমঃ গজপতি বুদ্ধি , বিদ্যা এবং সমৃদ্ধির সৌভাগ্যের দেবতাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ট দেবতা। আবার তিনি হলেন বিঘ্ননাশক সিদ্ধিদাতা শ্রী গণেশ।
Ganesh Chaturthi 2024 গণেশ চতুর্থী ২০২৪
২০২৪ সালে ৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৪৩১ ভাদ্র মাসের চতুর্থ তিথিতে শনিবার ২১ তারিখে শ্রী শ্রী গণেশ দেবতার পূজো করা হয়।
স্কন্দপুরান অনুসারে এইদিনে শ্রী শ্রী গণেশ দেবতার জন্ম হয়েছিল। তাই এই দিনটি গণেশ চতুর্থী নাম পরিচিত।
গণেশ চতুর্থী ২০২৪ | গণেশ পূজা কেন করা হয়?
শ্রী গণেশ হলেন দেবের দেব মহাদেব ও মা পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র। শ্রী গণেশ দেবতা তিনি বিভিন্ন নাম পরিচিত যে গণপতি , বিনায়ক , একদন্ত , বিঘ্নেশ্বর এবং গজপতি। শ্রী গণেশ দেবতার অনেক ধরনের গুণাবলী রয়েছে কিন্তু তিনি বেশিরভাগ মানুষের কাছে তার হাতির মাথা দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকেন।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে জানুন এই পূজার তাৎপর্য ও রীতিনীতি এবং পালনের বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পান আমাদের এখানে Banglarsamay.com। হিন্দুদের মতে ভক্তি ভরে নিয়ম মেনে এই গণেশ চতুর্থীর দিন যদি কেউ শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা গণেশ এর পূজা করলে তার আশীর্বাদ সর্বদা মেলে।
হিন্দু শাস্ত্রমতে সমস্ত দেবদেবীর পুজোগুলির মধ্যে সবার সেরা বা অন্যতম পূজা হলো শ্রী শ্রী গণেশ পূজা। আর একটা কথা সব দেবতার পুজোর এই শ্রী শ্রী গণেশ দেবতার পুজো করতে হয়। আমাদের মতে অর্থাৎ হিন্দুদের শাস্ত্রবিধি মতে এই দিন শ্রী শ্রী গণেশ দেবতা মর্তে আসে অর্থাৎ পৃথিবী আসেন , এই দিন সকল ভক্ত বিন্দুদের মনের আশা আখাঙ্খা পূরণ করেন। শ্রী শ্রী গণেশ দেবতার বাহন হলেন ইঁদুর।
গণেশ পূজোর বিভিন্ন নাম
বিভিন্ন জায়গায় শ্রী শ্রী গণেশ দেবতার পুজোর নাম বিভিন্ন নাম ডাকা হয়ে থাকে।
- বাংলা ভাষায় শ্রী শ্রী গণেশ পুজো নাম পরিচিত।
- সংস্কৃত এ বলা হয় কন্নড়।
- তামিল ও তেলেগু ভাষায় বলা হয় উৎসব বিনায়ক ঢবিথি বা বিনায়ক চতুর্থী নাম ডাকা হয়।
- কোঙ্কনি ভাষায় বলা হয় চবথ
- নেপালি ভাষায় বলা হয় ঘি চথা।
কতদিন ধরে এই পূজা হয় ?
আমাদের পঞ্জিকা অর্থাৎ হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে শ্রী শ্রী গনেশ পূজা ১০ ধরে চলে তারপর বিসর্জন দেওয়া হয়। দেবতাদের মধ্যে শ্রী শ্রী গণেশকে পূজ্য দেবতা বলা গণ্য করা হয়।
গণেশের ১০৮ টা নাম
শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা গণেশের ১০৮ টা নাম আখুরাথ , আলাম্প্টা , আনান্তাচিদ্রুম , অমিত , আভানিশ, অভিঘ্ন্যা ,বালগণপতি, ভালচন্দ্র, ভীমা , ভূপতি , ভুবনপতী, বুদ্ধিনাথ , বুদ্ধিপ্রিয় , বুদ্ধিবিধাতা , চতুর্ভুজ , দেবাদেবা , দেবান্তকনাশককারীন, দেবব্রত , দেবেন্দ্রশিকা , ধার্মিক , ধুম্রবর্ণা , দুরজা , আরও অনেক রয়েছে।
গণেশের হাতির মাথা
হিন্দুদের কাব্যগ্রহন্থ পুরান অনুসারে শ্রী গনেশের জন্ম নয় সৃষ্টি করা হয় , মা পার্বতী তাকে সৃষ্টি করেন। একদিন মহাদেব অর্থাৎ শিব কোথাও যান এবং এদিগে পার্বতী গণেশকে তার দরজার পাহারা দিতে বলেন সেই সময় শিব ফিরে আসে এবং এসে দেখতে তার প্রবেশ দ্বারে একটি ছোট বালক দরজা পাহারা দিচ্ছে। শিব গণেশকে বলে সরে যাও কিন্তু গণেশ সরে যায় না ,
তারপর তাদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয় সেই সময় শিব গনেশের মাথা কেটে দেয়. তারপর পার্বতী সেখানে এসে দেখে কান্না শুরু করে এবং বলে গনেশ আমাদের সন্তান , তৎক্ষণাৎ শিব সম্মস্ত দেবতাদের বলে ঊত্তর দিকে শুয়ে থাকা একটি প্রাণীর মাথা লাগালে ঠিক হয়েযাবে। তৎক্ষণাৎ দেবতারা সেখানে যায় এবং প্রথমে তারা একটা হাতি দেখতে পায় এবং তারা সেই হাতির মাথা কেটে নিয়ে আসে এবং সেই মাথা গনেশের মাথায় বসিয়ে এবং সেই সময় থেকে গণেশকে গজানন বলে সবাই চেনে এবং পুজো করতে শুরু করে।
গণেশের প্রিয় খাবার
গণেশ চতুর্থী উদযাপনে বিভিন্ন স্বদিস্ট খাবার প্রস্তুত করা হয়। এই খাবার গুলি গনেশের খুব প্রিয়। তার পূজায় এগুলি ব্যবহৃত হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে লাডডু , মোদক , শেরা , বাসুন্দি এবং পুরান পলি।